Breaking News
Loading...
Monday, May 16, 2011

The philladelphia project:পৃথিবীর ইতিহাস পাল্টে দিতে পারত বিজ্ঞানের যে অপ্রকাশিত এবং গোপনীয় অধ্যায়

10:51 AM

পুরো ব্যাপারটা প্রকাশিত হলে প্রায় কয়েক দশক এগিয়ে যেত পৃথিবী,পাল্টে যেতে পারত আমাদের পৃথিবীর চিরপরিচিত চেহারা, আমরা হতে পারতাম মহাবিশ্বের সবচেয়ে বুদ্ধিমান প্রাণীর আরও উপযুক্ত দাবীদার।কিন্তু তা হয়নি, আরও ভালো করে বললে হতে দেওয়া হয়নি।আসলে বিজ্ঞান কখনই নিজের মত করে মাস পিপলের কাছে পৌছাতে পারেনি,কোন যুগে ধর্ম একে শেষ করে দিতে চেয়েছে,তো অন্য যুগে এইটি পৃথিবীর নোংরা রাজনীতি হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে,আবার কোন কোন সময় মহা পরাক্রম শালী কিছু প্রতিষ্ঠান বিজ্ঞানী এবং তাদের আবিস্কার এই দুই কে কাজে লাগিয়েছে শুধু তাদের নিজেদের স্বার্থে। ফিলাডেলফিয়া এক্সপেরিমেন্ট-মানুষের এই পর্যন্ত করা সবচেয়ে আশ্চর্যের একটি এক্সপেরিমেন্ট, এইটির কথাই বলছি আমি।

এইবার আসি মূল ঘটনাই।কি হয়েছিল এই এক্সপেরিমেন্ট এ?
এইটা প্রজেক্ট রেইনবো নামেও পরিচিত।পুরো এক্সপেরিমেন্ট টা করা হয়েছিল আমেরিকার নেভাল একাডেমী তে যেটা ফিলাডেলফিয়া তে অবস্থিত।ঘটনার কাল-২২ ই জুলাই,১৯৪৩।সেদিন ওই নেভাল একাডেমী তে eldridge নামে একটি বিশালাকার জাহাজের উপর ওই পরীক্ষা চালানো হয়। উদ্দেশ্য জাহাজটিকে অদৃশ্য করে দেওয়া।খুব অদ্ভুত পরীক্ষা,তার ছেয়েও অদ্ভুত তার উদ্দেশ্য।কিন্তু মাঝে মাঝে বাস্তবতা ফিকসান কেও হার মানায়।সেটাই হল ফিলাডেলফিয়ায়। প্রায় অদৃশ্য হয়ে গেল জাহাজটি।অতটুকু পর্যন্তই।পুরোপুরি সফল হলনা উদ্দেশ্য। 
এইটি সেই জাহাজ যাকে অদৃশ্য করে দেওয়া হয়।
২৮ ই অক্টবার,১৯৪৩। আবার করা হয় এক্সপেরিমেন্ট তি।এইবার বিশাল জাহাজটি সব ক্রু সহ তো অদৃশ্য হল এবং ১০ সেকেন্ড পর একে পাওয়া যায় প্রায় ২০০ মাইল দূরে ভারজিনিয়ায়।পুরো ব্যাপারটাই অবিশাস্য।
যদিও আমেরিকান নেভাল একাডেমী ব্যাপারটি কখনই স্বীকার করে নেয়নি।বরাবর ই তারা ব্যাপারটিকে অস্বীকার করে hoax বলে উড়িয়ে দিয়েছে।
আসল ব্যাপারটা হল এই ব্যাপারটা নিয়ে একদল বিজ্ঞানী ব্যাপারটা নিয়ে কাজ করে আসছিল অনেক আগ থেকেই।এই বিজ্ঞানিদের মধ্যে আইনসটাইন,নিকল টেসলা সহ আরও অনেক বিখ্যাত বিজ্ঞানী ছিল।এই এক্সপেরিমেন্ট টা করা হয়েছিল unified field theory এর উপর ভিত্তি করে।যদিও আমাদের জানা মতে পুরো থিওরিটির কাজ আইনসটাইন শেষ করে যেতে পারেন নি।কিন্তু ফিলাডেলফিয়া প্রজেক্ট নিয়ে যে কয়েক টা গল্প বাজারে চাউর আছে তার মধ্যে সব চেয়ে গ্রহণযোগ্য মতামত হল আসলে unified field theory টার প্রমান করা হয়েছিল এবং এটা গোপন রাখা হয়েছিল , ফিলাডেলফিয়া এক্সপেরিমেন্ট টি ছিল এর একটি এপ্লিকেসান মাত্র।এই ব্যাপারে William moor তার philladelphia experiment বইটাতে একটি চিটির রেফারেন্স দিয়েছেন যেটি কার্ল এলেন্স লিখেছিলেন জেসাপ এর কাছে।এই চিটিতে আইনসটাইন এবং বারটান্ড রাসেল এর কথোপকথন উল্লেখ করা হয়েছে যেখানে আইন্সটাইন নিজেই unified field theory শেষ করার কথা বলেছিলেন।নিকল টেসলার ও এই ব্যাপারে স্বীকারোক্তি আছে।
কিভাবে করা হয়েছিল পুরো এক্সপেরিমেন্ট টা? যতটুকু জানা যায় পুরো জাহাজ টাকে তার দিয়ে মোড়ানো হয়েছিল,তারপর বিশাল ইলেক্ট্রিক্যাল জেনারেটর এর সাহায্যে এর মধ্যে দিয়ে কারেন্ট পাস করানো হয়েছিল এবং পুরো জায়গায় বিশাল ম্যাগনেটিক ফিল্ড তৈরি করা হয়েছিল।এই ম্যাগনেটিক ফিল্ড দ্বারাই জাহাজের আশপাশের আলো কে bend করা হয়েছিল।জাহাজের আশপাশের আলো বেন্ড হয়ে যাওয়ার ফলে আমরা জাহাজ টিকে আর দেখতে পাই না অন্যভাবে বললে জাহাজটি অদৃশ্য হয়ে যায়। 
এইভাবেই জাহাজটি অদৃশ্য হয়ে যায়।আর দ্বিতীয় এক্সপেরিমেন্ট টিতে জাহাজ টির মুহূর্তে ২০০ মাইল পাড়ি দেওয়ার ব্যাপারটা আইনস্টাইন এর একটি কথায় পরিস্কার হবে।তিনি বলেছিলেন আমরা যদি আলো কে বেন্ড করতে পারি তবে আমাদের দ্বারা সময় এবং স্থান দুটুকেই বেন্ড করা সম্ভব হবে।আর এই দুটুকে বেন্ড করা গিয়েছিল বলেই জাহাজ টিকে ওই অল্প সময়ে অত দূরে পাঠানো সম্ভব হয়েছিল।  
ঠিক এইভাবেই ম্যাগনেটিক ফিল্ড তৈরি করে আলোকে বেন্ড করা হয়েছিল।
ওই জাহাজের মধ্যে যারা ছিল তারা অধিকাংশই মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে।যারা সুস্থ ছিল তাদের কেও বিভিন্ন ভাবে এর গোপনীয়তা রাখার জন্য চাপ প্রয়োগ করা হয়েছিল।কিন্তু কেন এই গোপনীয়তা? আমরা আজো জানিনা।আসলে আমেরিকান মিলিটারি দের অধিকাংশ রিসার্চ সম্পর্কে বাইরের দুনিয়াকে কিছুই জানতে দেওয়া হয় না।এই এরিয়া ৫১ এর কথাই ধরুন না। আমরা সবাই জানি জায়গাটা আছে,কিন্তু অত একটা বিশাল জায়গা জুড়ে কি করা হয় টা সম্পর্কে আমরা কিছুই জানিনা।অনেক রহস্যময় গল্প চালু আছে এই নিয়ে।থাক,সে গল্প অন্যদিন।ও ভালো কথা, ফিলাডেলফিয়া প্রজেক্ট নিয়ে কিন্তু হলিউডে মুভিও হয়েছে-the philladelphia experiment (1984),directed by stewart raffil.চাইলে মুভিটা দেখে নিতে পারেন।
সবাই ভালো থাকবেন।



লিখেছেনঃ নিয়নের আলো

0 comments:

Post a Comment

 
Toggle Footer