Breaking News
Loading...
Monday, July 4, 2011

সৈয়দ মুজতবা আলী এর বই কালেকশন

12:00 AM


সৈয়দ মুজতবা আলী (সেপ্টেম্বর ১৩, ১৯০৪ - ফেব্রুয়ারি ১১ , ১৯৭৪) একজন বাঙালি সাহিত্যিক। তিনি আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম রম্যরচয়িতা।
জন্ম
সৈয়দ মুজতবা আলী জন্মগ্রহণ করেন ১৯০৪ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর সিলেটের করিমগঞ্জে। তাঁর পিতা সৈয়দ সিকান্দার আলী। তাঁর পৈতৃক ভিটা হবিগঞ্জে।


শিক্ষাজীবন
পিতার বদলীর চাকরি হওয়ায় মুজতবা আলীর প্রাথমিক শিক্ষাজীবন কাটে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। ১৯২১ সালে তিনি শান্তিনিকেতনে ভর্তি হন। তিনি ছিলেন বিশ্বভারতীর প্রথম দিকের ছাত্র। এখানে তিনি সংস্কৃত, ইংরেজি, আরবী, ফার্সি, হিন্দী, গুজরাটি, ফ্রেঞ্চ, জার্মান ও ইটালিয়ান ভাষাশিক্ষা লাভ করেন। ১৯২৬ সালে এখান থেকে বি.এ. ডিগ্রী অর্জন করেন। এরপর তিনি আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেন। দর্শনশাস্ত্র পড়ার জন্য বৃত্তি নিয়ে জার্মানির বন বিশ্ববিদ্যালয়ে যান। তুলনামূলক ধর্মতত্ত্বে গবেষণার জন্য তিনি ডি.ফিল লাভ করেন ১৯৩২ সালে। ১৯৩৪-১৯৩৫ সালে তিনি মিশরে কায়রোর আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন।
কর্মজীবন
আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া শেষ করে ১৯২৭ থেকে ১৯২৯ সাল পর্যন্ত মুজতবা আলী কাবুলের একটি কলেজে অধ্যাপনা করেন। সেখানে তিনি ইংরেজি ও ফ্রেঞ্চ ভাষার শিক্ষক ছিলেন। ১৯৩৫ সালে বরোদার মহারাজার আমন্ত্রণে তিনি বরোদা কলেজে তুলনামূলক ধর্মতত্ত্বের অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। এখানে তিনি আট বছর কাটান। এরপর দিল্লীর শিক্ষা মন্ত্রনালয়ে যোগ দেন। পরবর্তীতে তিনি তৎকালীন পূর্বপাকিস্তানের বগুড়ার আজিজুল হক কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের খন্ডকালীন প্রভাষকের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি পঞ্চাশের দশকে কিছুদিন আকাশবাণীর স্টেশন ডিরেক্টরের দায়িত্ব পালন করেন পাটনা, কটক, কলকাতা এবং দিল্লীতে। ১৯৬১ সালে তিনি শান্তিনিকেতনে ফিরে যান। বিশ্বভারতীর ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের রিডার হিসেবে যোগ দেন। ১৯৬৫ সালে তিনি অবসরগ্রহণ করেন।
লেখালেখি
শান্তিনিকেতনে পড়ার সময় সেখানের বিশ্বভারতী নামের হস্তলিখিত ম্যাগাজিনে মুজতবা আলী লিখতেন। পরবর্তীতে তিনি ‘সত্যপীর’, ‘ওমর খৈয়াম’, ‘টেকচাঁদ’, ‘প্রিয়দর্শী’ প্রভৃতি ছদ্মনামে বিভিন্ন পত্রিকায়, যেমনঃ দেশ, আনন্দবাজার, বসুমতী, সত্যযুগ, মোহাম্মদী প্রভৃতিতে কলাম লিখেন। তাঁর বহু দেশ ভ্রমণের অভিজ্ঞতা থেকে লিখেছেন ভ্রমনকাহিনী। এছাড়াও লিখেছেন ছোটগল্প, উপন্যাস, রম্যরচনা। বিবিধ ভাষা থেকে শ্লোক ও রূপকের যথার্থ ব্যবহার, হাস্যরস সৃষ্টিতে পারদর্শিতা এবং এর মধ্য দিয়ে গভীর জীবনবোধ ফুটিয়ে তোলার ক্ষমতা তাঁকে বাংলা সাহিত্যে এক বিশেষ মর্যাদার আসনে বসিয়েছে। তাঁর রচিত বইয়ের সংখ্যা ৩০।
গ্রন্থ
ভ্রমনকাহিনী
  1.     দেশে বিদেশে (১৯৪৯)
  2.     জলে ডাঙ্গায় (১৯৬০)
উপন্যাস
  1.     অবিশ্বাস্য (১৯৫৪)
  2.     শবনম (১৯৬০)
  3.     শহরইয়ার (১৯৬৯)
ছোটগল্প
  1.     চাচা কাহিনী (১৯৫২)
  2.     টুনি মেম (১৯৬৪)
রম্যরচনা
  1.     পঞ্চতন্ত্র (১৯৫২)
  2.     ময়ূরকন্ঠী (১৯৫২)
এছাড়া
  1.   রাজা উজির
  2.   ধূপছায়া
  3.   চাচা কাহিনী
  4.   বেচে থাক সর্দি-কাশি
  5.   পুনশ্চ
  6.   পাদটীকা
  7.   তীর্থহীনা
  8.   কর্ণেল
  9.   রাক্ষসী
  10.   বিধবা বিবাহ
  11.   ক্যাফে-দে-জেনি
  12.   মা জননী
  13.   বেল তুলে দু-দু'বার
  14.   স্বয়ংবরা
  15.   রস-গোল্লা (ইংরেজি)


মৃত্যু
১৯৭৪ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি সৈয়দ মুজতবা আলী মৃত্যুবরণ করেন।

0 comments:

Post a Comment

 
Toggle Footer